Notification texts go here Contact Us Buy Now!

একটি অদ্ভুত প্রেমের গল্প | A Bangla Love Story

Unknown

love story


আপনাদের কাছে একটা বাস্তব Love Story শেয়ার করলাম, যা থেকে  Love সম্পর্কীয় বদলাবে ।
সপ্তাহ দুয়েক আগে আমার গার্লফ্রেন্ড এর বিয়ে ছিল।
কিন্তু বিয়ে টা হয়নি।
কারন, বিয়ের দিন আমি তাকে তুলে নিয়ে আসছিলাম এবং কোর্ট ম্যারেজ করে ফেলি দুইজনে।
আমার বাবা মা বিষয়টা মেনে নিল না,

বিধায় আমাকে বাসা থেকে বের করে দিল।অসহায় দুইটা প্রাণ ঘুরতেছিলাম.....।
আমি ভাবলাম যত কষ্টই হোক, মেঘলাকে একটা থাকার ব্যবস্থা আমাকে করে দিতেই হবে!
হাতে কিছু টাকা ছিল।ঐই টাকা দিয়ে মেঘা কে একটা মহিলা মেসে তুলে দিলাম।
আমার কাছে প্রায় সব টাকা শেষ।কথায় আছে বিপদে পড়লে বন্ধু চেনা যায়। একজন ও আমার পাশে এসে দাঁড়ায় নাই।
কিনা করছি তাদের জন্য। যাই হোক, এটাই হয়ত পৃথিবীর নিয়ম। বড্ড স্বার্থবাদী এই পৃথিবীটা এবং এই পৃথিবীর মানুষ গুলো।
এই দিকে রাত হয়ে গেল।হাতে একটা টাকাও
নাই।
সখের মোবাইল ফোনটা বেঁচে দিলাম রাস্তার টোকাই এর কাছে!
টাকা হাতে আছে, কিন্তু খাইতে ইচ্ছা করছে না!
ভাবছিলাম আমি যদি একটু কষ্ট করি,তাহলে মেঘলা ভাল থাকবে। এরমধ্যে আমি একটা থার্ড ক্লাস মেসে উঠলাম!
অন্তত আকাশের উপর ছাদ টা পেয়েছিলাম!
খুব কষ্টে একটা হোটেলে ওয়েটারের চাকরী পেলাম! নিজেকে প্রশ্ন করলাম টাকাই কি সব কিছু?
একদিন দুপুরে,হোটেল এ ১০ জন ফরেনার আসল!
কিন্তু কেউ তাদের খাবারের অর্ডার নিতে পারলনা, আমি BBA তে অধ্যায়নরত ছাত্র। তাই ইংরেজিতে কথা বলার কৌশলটা আমার অনেক আগে থেকেই আয়ত্ত করা ছিল।তাদের সাথে কথা বলে হোটেল ম্যানেজারকে
সন্তুষ্টি করে ফেললাম। ফলে আমাকে ফ্লোর ম্যানেজার করে দিল। বেতন ও ১৮ হাজার টাকা!
মেঘলাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য নতুন বাসা
ভাড়া নিলাম।দুইজন একসাথে থাকব,মনে ঝড় উঠতে লাগল!
মেঘলার মেসে গিয়ে জানতে পারলাম,মেঘলা তার বাবার সাথে বাসায় চলে গিয়েছে!
একটা ছোট্ট মেয়ে আমাকে বলল ভাইয়া,মেঘা আপু আপনাকে এই চিঠিটা
দিতে বলছে!
চিঠিটা এমন ছিলো:
আশিক,যখন তুমি আমাকে বিয়ে করে সুখী করতে পারবে না,তবে কেনো আমায় সুখের রাজ্য থেকে নিয়ে এসেছিলে?
তোমার অবস্থা এখন আর পাঁচটা সাধারণ ঘরের থার্ডক্লাস ছেলেদের মত। যাই হোক তোমার বাসায়
ডিভোর্স এর পেপার চলে যাবে।প্লিজ আমাকে যদি একটুও ভালবাসো,তাহলে সাইন টা করে দিও!
-নির্বাক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়েছিলাম চিঠির দিকে।মাত্র ১০ টা দিন কষ্ট
করতে পারল না!
ব্যর্থতা আমারই ছিল। আমি একটা অপদার্থ ছেলে যে,মেঘলাকে ভালবেসে নিজের জন্মদাতা পিতা-মাতাকে ছেড়ে তার কাছে চলে এসেছিলাম।প্রতিদানে কি পেলাম আমি?
ক্ষুদার্থ পেট,শ্রমিকের
মত জীবনযাপন!
আজ সেই মেয়েটির
বিয়ে।শুনেছি নাকি ছেলের অনেক অনেক টাকা!
সারমর্ম: টাকার ভীড়ে হয়তবা চাপা পরে যাবে আশিক নামের ছেলেটার আর্তনাদ!
জীবনের সব কিছুই নির্ভর করে টাকার উপর।
যখন টাকা ছিল,মেঘলা
আশিকের ছিল!
আজ টাকা নেই,মেঘলা অন্য কারো!
.
আমরা চাইনা এই মেঘলাদের।আসুন মন থেকে
ভালবাসি।ভালবাসাকে ভালবাসি,কারো শরীর বা টাকাকে নয়!
.
এই কারণে আমি কোনো মেয়েকে বিশ্বাস করার আগে তার মানুষিকতা টা বুঝে নিন।
যারা একটু কষ্ট হবে বলে,ভালোবাসার মানুষটাকে পর করে দেয়!
১০০% এর মাঝে ৯৫% মেয়ে ভালো মনের মানুষ খোঁজে না।খোঁজে টাকা আছে এমন ছেলেদের।
শুনেছি টাকা না থাকলে নাকি ভালোবাসা ঘরের
জানালা দিয়ে পালায়!
আসলেই কী কথাটা ঠিক?
বি দ্রঃ যদি শারীরিক সম্পর্ক টাই হয় ভালবাসা তবে বিয়ের নামে এই খেলা কেনে??
যদি টাকা টাই হয় সব কিছু তবে এই ভালবাসার ছলনা কেনো....??

১টি মন্তব্য

  1. Nice post Chhota Golpo amar onek valo laglo . Upnake onek onek donobad ei rokom golpo post korar jonno .
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.